ব্রাজিল ছিল চাপে, বিশেষ করে কৌতো পেরেইরা স্টেডিয়ামে নামার আগে। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে টানা চার ম্যাচে জয়হীন থাকার পর এই ম্যাচ ছিল তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত বছরের অক্টোবর মাসে ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করার পর থেকে টানা তিন ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হয়েছে ব্রাজিলকে। উরুগুয়ের কাছে পরাজিত হওয়ার পর নভেম্বর মাসে কলম্বিয়া এবং আর্জেন্টিনার কাছে পরাজয় দলটিকে আরও চাপে ফেলে দেয়। এ অবস্থায় কোচ দরিভাল জুনিয়রের দল ছিল চরম সমালোচনার মুখে।
অবশেষে কুরিতিবার মাটিতে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় দিয়ে সেই জয়হীনতার বৃত্ত ভাঙতে সক্ষম হয় ব্রাজিল। যদিও এই জয় তাদের খেলা নিয়ে দর্শকদের মন ভরাতে ব্যর্থ হয়েছে। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগোদের এই জয়ে শুধুই ৩ পয়েন্ট অর্জনের স্বস্তি মিলেছে।
ম্যাচের ৩০তম মিনিটে ব্রাজিল তাদের একমাত্র গোলটি পায়। বক্সের সামনে অবস্থান করছিলেন ফরোয়ার্ড রদ্রিগো। মিডফিল্ডার লুকাস পাকেতা বল পেয়ে রদ্রিগোকে পাস দেন। রদ্রিগো বল নিয়েই ঘুরে ইকুয়েডরের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শট নেন। শটটি ইকুয়েডরের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে গতিপথ পরিবর্তন করে, যার ফলে গোলকিপার এরনান গালিন্দেজের প্রতিরোধ ব্যর্থ হয় এবং বল জালে জড়ায়।
প্রথমার্ধেই গোল হজম করার পর ইকুয়েডর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ব্রাজিল শেষ পর্যন্ত এই এক গোলের ব্যবধান ধরে রেখে জয় তুলে নেয়। উল্লেখ্য, এই ম্যাচ ছিল ব্রাজিলের জন্য কোপা আমেরিকার পর প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। কোপার কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে উরুগুয়ের কাছে হেরে বিদায় নেয় তারা।
এ জয়ের ফলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পয়েন্ট তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ব্রাজিল। ৭ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। তাদের চেয়ে ৮ পয়েন্ট বেশি নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা। উরুগুয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে, আর কলম্বিয়া ৬ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
লাতিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে শীর্ষ ছয়টি দল সরাসরি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে, আর সপ্তম স্থানে থাকা দলটিকে প্লে-অফ খেলতে হবে।